সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে আবারো রিমান্ড প্রদান এবং তাঁর সাথে অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “গত ৭ এপ্রিল রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘মাহে রমাদানের তাৎপর্য ও যাকাত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা থেকে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। তখন বানোয়াট দুটি মামলায় দু-দফায় তাঁকে ৮ দিন রিমান্ড দেওয়া হয়।
এখন আবারো উদ্দেশ্যমূলকভাবে শাহবাগ ও খিলক্ষেত থানার দুটি পুরোনো মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে! তাঁকে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। একই সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। অথচ তাঁকে যেভাবে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে, তা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। অথচ তাঁকে ভয়ংকর ও অসম্মানজনকভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
অতীতে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এ ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন ও হয়রানি করার জন্যই মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সাথে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ও অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে। যা দেশের মানুষকে চরমভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে হয়রানি ও অসম্মান করে অবৈধ সরকার তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ অবৈধ আওয়ামী সরকারের অন্যতম পরিচায়ক। কিন্তু জনগণ এসব অবিচার ও অসভ্যতা দেখতে প্রস্তুত নয়।
অবিলম্বে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ মিথ্যা মামলায় আটক সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এসব নিকৃষ্ট অপকর্ম অবৈধ সরকারকে রক্ষা করবে না। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এদেশের ছাত্রজনতা উপযুক্ত জবাব দেবে, ইনশাআল্লাহ।