বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম ডেকরা গ্রামের বাড়ীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, তাণ্ডব, সন্ত্রাস ও ভাঙ্গচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে দায়ি ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রমহান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরে সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক যৌথ বিবৃতিতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এবং আগামী নির্বাচনে তার নিশ্চিত বিজয় ঠেকানোর জন্য সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় গত ৫ মে রাত আনুমানিক ৯ টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম ডেকরা গ্রামে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মদদপুষ্ট একদল দুর্বৃত্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বাড়িতে কুলাশার গ্রামের আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী নির্বিচারে ভাংচুর এবং তÐবলীলা চালিয়েছে। এছাড়াও ডা. তাহেরের চাচাতো ভাই ফয়েজ আহমেদ এবং পাশ্ববর্তী দিনমজুর শাহ আলমের বাড়ি, সাধারণ গ্রামবাসী তাহের মিয়াজীর মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ঘর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পুর্ব পরিকল্পিকতভাবে এ হামলা চালানো হয়। যা আওয়ামী বাকশালী সরকারের সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির কথায় স্মরণ করিয়ে দেয়। তারা সরকারকে সন্ত্রাস ও অগণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করার আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে গণরোষের মুখোমুখি হবে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উম্মাদ হয়ে গেছে। এজন্য তারা জামায়াতসহ দেশপ্রেমী শক্তির বিরুদ্ধে জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্যই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আবারো তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্নে বিভোর। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
নেতৃদ্বয় সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারে হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।