বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা বলেছেন, রমজান হলো কুরআনের মাস; তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসেই বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ হিসাবে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়। তাই এই মাসের মর্যাদা যেমন সমধিক, ঠিক তেমনিভাবে এ মাসের মর্যাদার কারণেই কুরআনও হয়ে উঠেছে মহিমান্বিত। মূলত, কুরআনের আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। তিনি কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের শের-ই-বাংলা নগর থানা দক্ষিণ আয়োজিত পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু সাঈদ মন্ডলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসাইন ও মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন সাবেক থানা আমীর আ.জ.ম কামাল উদ্দিন, সাবেক থানা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ, থানা শুরা-কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল খান, জামিল বিন হোসাইন, মাওলানা রুহুল আমিন ও আব্দুজ জাওয়াদ এবং ছাত্রশিবিরের থানা সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, পবিত্র রমজান মাস তাকওয়া অর্জন এবং সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাস হলেও জনগণ নির্বিঘ্নে ও স্বাছন্দে এ মাসে সিয়াম পালন করতে পারেনি। এই মোবারক মাসেই যাকাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও তারাবীহের নামাজরত অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মানুষকে গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত ডা. শীর্ষনেতারা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। সেক্রেটারি জেনারেল বারবার দেশের উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জেল গেইট থেকে গ্রেফতার করে আইন ও সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হেমায়েত হোসাইন বলেন, ঈদ মানে আনন্দ হলেও এবারের ঈদের আনন্দ সর্বজনীন ও অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। পবিত্র রমজান মাসে লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের সিয়াম পালনও নির্বিঘ্নে হয়নি। তাই আগামী ঈদগুলোকে অর্থবহ করতে এই জুলুমবাজ সরকারের পতনের কোন বিকল্প নেই।
মু. আতাউর রহমান সরকার বলেন, এই মহিমান্বিত মাস দোয়া কবুল ও নাযাতের মাস। মানুষ যাতে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে এজন্যই সিয়ামকে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে। তিনি রমজানের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান তাকওয়া অর্জন ও আত্মশুদ্ধির মাস। তাই এই মাস থেকে আমরা কতখানি নিজেদের পরিবর্তন করতে পেরেছি তা আত্মসমালোচনা করে দেখার সময় এসেছে।