বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর,সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে তাকওয়া অর্জন। আর এই তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম হলো ঈমান ও ইহতিসাব। যা আমাদেরকে নিষ্পাপ ও মুখলিস হতে সহায়তা করে। আমরা তাকওয়ার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করতে পারি। তাই রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ময়দানে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গতকাল রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল অঞ্চল( ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের) সকল জনশক্তিকে নিয়ে এক ভার্চুয়াল ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি, কাফরুল অঞ্চল পরিচালক ডা. ফখরুদ্দীন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও মহানগরী পশ্চিম শিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
ডা. সৈয়দ তাহের বলেন, নির্বাচন একটি যুদ্ধ ক্ষেত্র। তাই এই যুদ্ধের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে আনতে হলে জনসম্পৃক্তা বাড়াতে হবে। বস্তুত নির্বাচনী চরিত্র হচ্ছে গণমুখী চরিত্র। এ আসনে আগামী দিনে আমাদের প্রিয় নেতা ডা.শফিকুর রহমানকে বিজয়ী করতে হলে দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। এজন্য প্রতিটি কর্মীকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে। মানুষের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে সেসব সমস্যা সমাধানের সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর সংগঠনকে গণমুখী করতে পারলেই আমরা এই আসনে বিজয়ী হতে পারবো। তিনি কাফরুল অঞ্চল( ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসন) কে মজবুত করার জন্য নেতাকর্মীদের মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞাসহ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানান।
ডা. তাহের, অবিলম্বে কারাগারে অন্যায়ভাবে আটক আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবি জানান।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর জাতীয় দিবস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর খুশীর বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মূলত, জাতি গঠনের কর্মসূচি হচ্ছে এই ঈদ। আমরা কতখানি নৈতিকতা অবলম্বন করে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম মুক্ত থেকে সিয়ামের হক্ব আদায় করতে পেরেছি সেটিই হচ্ছে আমাদের সাফল্য-ব্যর্থতার মানদণ্ড। দীর্ঘ সময় সিয়াম পালনের মাধ্যমে আমরা সে লক্ষ্যে কতখানি সফল হয়েছি তা আত্মসমালোচনা করে দেখার সময় এসেছে।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, মিরপুরের এই ময়দান আমাদের অনেক ব্যথা, বেদনার ও প্রেরণার জায়গা। এই ময়দান থেকে শাহাদাত বরণ করেছেন শহীদ মীর কাসেম আলী, আর এই সংসদীয় আসনেই মানবতার ফেরিওয়ালা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান আমাদের প্রিয়নেতা,আগামী দিনের কান্ডারি।
এই মাটিতেই ঘুমিয়ে আছেন আমাদের রাহবার অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ। তিনি ইসলামী আন্দোলনের নকশা প্রণয়নের মহান দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমরা এখন এই ময়দানের জিম্মাদার,আমাদের এখন এটি রক্ষা করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা যে মানবসেবা ও কল্যাণের মিশন নিয়ে কাজ করছি তা সকলকে অবগত করতে হবে। আমাদের আহবান প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। আর এজন্য আমাদের সকল শক্তি, সামর্থ ও যোগ্যতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই আমাদের বিজয় নিশ্চিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফখরুদ্দীন মানিক বলেন, কোন বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম-নির্যাতনে হতোদ্দম হলে চলবে না বরং যেকোন প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ইসলামী আন্দেলনকে বিজয়ী করার জন্য কর্মীদেরকে যেকোন ত্যাগ স্বীকারের আহবান জানান।