গুলশানের এক ইসলামিক সেন্টারে তারাবীহ নামাজ থেকে ৩ শিশুসহ ২জন নারী,৩ জন হাফেজ ও তারাবি নামাজ এ আগত মুসল্লিসহ আটককৃতদের ১১ জনকে গুলশানা থানার একটি মামলায় এক দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান থানা পুলিশ নারী শিশুসহ ১৭ জনকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের খোজ খবর নিতে গুলশান থানায় গেলে আরো ২জন আটক করে। পরে বিশেষ ক্ষমতা এবং বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনের গুলশান থানার ৩১(৩)২৩ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১ নং আসামি থেকে ১১ নং আসামীর রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- ১.হোসাইন বিন মানসুর(৩৩), ২. মুফতি রহমতুল্লাহ বীন তোফাজ্জল হোসেন(৪৭), ৩. আব্দুলা আল মাহফুজ (৩৩)৪.এ কে এম আব্দুস ছালাম (৬৫), ৫.সাইমুম জামি(২৫),৬.মো. হাফিজুর রহমান (৬৬), ৭.আনজুম বিন কালাম(২৪), ৮.নুর মোহাম্মদ মনির(৩৫), ৯.মো. সালাউদ্দিন সাব্বির (১৯),১০.আব্দুর নূর নূরনবী(২১),১১.মো. নাসির উদ্দিন (২৩), এছাড়া অপর দুই নারী ও তিন শিশুসহ বাকি পাঁচ আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।
আসামি পক্ষে আদালতে শুনানি করেন-অ্যাাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক,অ্যাডভোকেট রোকন রেজা, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ও অ্যাডভোকেট এম আর মাসউদ।আদালতের আদেশের পর সিএমএম আদালতের সামনে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কথা বলেন,বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আ.রাজ্জাক।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু মার্কেট সংলগ্ন ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ (কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র) থেকে তারাবীহর তিন ইমামসহ তাদের আটক করে গুলশান থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দু-একদিনের মধ্যে ওমরা হজ্ব করে যাবেন এমন মুসল্লিও ছিল।
ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ বা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিচালনা করে আসছেন। এখানে বয়স্কদের কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে পুরুষ ও নারীরা পৃথক ব্যবস্থাপনায় তারাবীহ নামাজ আদায় করে থাকেন।নিয়মিত কিয়ামুল লাইল হয়ে থাকে সেন্টারটিতে। এছাড়া বয়স্করা সহিহ কোরআন শিক্ষা ক্লাস করে থাকেন। ইসলামিক সেন্টারটিতে কোরআন, হাদীস ও নামাজ শিক্ষা বই সহ বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েলের বইও বিক্রি করা হয়। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এই কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে বিনা কারণে মুসুল্লিদের আটক করেছে।এহেন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় ইবাদাত বন্দেগি করা অবস্থায় আটক করে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত হেনেছে। পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লি ও ইমামকে আটক করে ইসরাইলী বাহিনীর মতো বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে।