ক্যাম্পাসে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চবিসাসের সদস্যরা। ছবি- সমকাল।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য ও সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্তা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার বিচারে দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে আজ রোববার ক্যাম্পাসে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চবিসাসের সদস্যরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেন সমিতির সদস্যরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন তাঁরা। পরে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বরাবর তাঁরা স্মারকলিপি দেন।
চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, এ ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন চাকসুর কার্যক্রম নেই। চাকসু না থাকায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর মুখপাত্র হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাংবাদিকরা। যখন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়, তখন মূলত সব শিক্ষার্থীর স্বাধীনতাই কেড়ে নেওয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, হেনস্তার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার দূরের কথা, তদন্ত প্রতিবেদনও জমা হয়নি।
উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, এ বিষয়ে আমি আগেও প্রক্টরিয়াল বডিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলব যেন দ্রুত এর বিচার হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পরদিনই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি কাজ করছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোর্স : সমকাল