উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন নতুন জগৎ। আর অনেক শিক্ষার্থীর সেই নতুন জগৎ শুরু হয় বিভীষিকাময় হলজীবনের মধ্য দিয়ে।
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের আলোচিত ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং বা পরিচয় পর্বের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর পর হলে উঠতে শুরু করেছেন নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। আর একের পর এক সামনে আসছে র্যাগিংয়ের ঘটনা। কেউ কেউ সাহস করে অভিযোগ দিয়েছেন, অনেকে আরো ঝামেলায় পড়তে পারেন—এই শঙ্কায় মুখ বুজে সয়ে গেছেন।
গত এক-দেড় মাসেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১০টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকি দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। একজন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়বেনই না—এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এসব ঘটনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক নেত্রীকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছে ছাত্রলীগই।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ঘটনা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রী। এতে অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের নেত্রী এবং তাঁর সহযোগীরা নানাভাবে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করেন। নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ভয়ে তিনি হল ছেড়ে বাড়ি চলে যান।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চারটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও অভিযুক্ত অন্তরাকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বক্তব্য শুনতে আজ তাঁকে ক্যাম্পাসে ডেকেছে শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি। গতকাল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী কামরুল হাসান অনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে ছাত্রলীগ ডাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। প্রয়োজন হলে বাড়ি এসে বক্তব্য নিতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওই ছাত্রী।
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন এক শিক্ষার্থী : দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগে লিখিত আবেদন করেও বিচার না পেয়ে রিয়াদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছেন। গত বুধবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নির্যাতনের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ডিন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
স্থাপত্য বিভাগের রিয়াদ হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আমি আর এখানে পড়ব না। এমন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়তে চাই না, যেখানে একজন শিক্ষার্থীর জীবন নিরাপদ নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি চলে যাওয়ার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের মতো মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন বন্ধ এবং স্থাপত্য বিভাগে আমলা-কামলা সম্পর্ক বাতিল করে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক জ্ঞানচর্চা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
রিয়াদ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ২২ ব্যাচের স্থাপত্য বিভাগের লেভেল-১, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থী। তাঁর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ২১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক দিনই আমাদের কথা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সে এ ধরনের অভিযোগ করেছে, আমরা তা বুঝতে পারছি না।’
ওই বিভাগের প্রধান আবু তোয়াব শাহরিয়ার বলেন, ‘বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শুনেছি, ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে আসতে বলা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, ওই ঘটনায় ৪০ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে ৯টি ধারার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এতে র্যাগিংয়ের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি বহিষ্কার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ঘটনা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহির তাঁর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, বড় ভাই শিশির আহমেদ শিহাব এবং তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজনের হাতে র?্যাগিংয়ের শিকার হন মাহির। বড় ভাইদের চিনতে না পারায় তাঁকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয় এবং গালাগাল করা হয়।
এ ছাড়া গত ৩ মার্চ রোকেয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রীকে (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেফতাহুল জান্নাত মনিকা, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস সূচনা, নাট্যকলার মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসমা বিনতি, চারুকলার শিক্ষার্থী স্মৃতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনিশা এবং প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাম্মী আক্তার প্রেমার বিরুদ্ধে। পরে হল প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাগিংয়ের শিকার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের এক বড় আপুর মাধ্যমে হলে উঠি আমি। ২২ ফেব্রুয়ারি আমাকে ওই বড় আপুকে কল করতে বলেন এক বড় ভাই। কিন্তু মোবাইলে ব্যালান্স না থাকায় কল দিতে পারিনি। এ অবস্থায় ওই বড় ভাই এবং আবাসিক ছাত্রী হলের আরেক ছাত্রলীগ নেত্রী আমাকে ফোনে নানাভাবে হুমকি দেন এবং গালাগাল করেন।’
এ ছাড়া সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে জ্যেষ্ঠ তিন ছাত্রীর বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয় বলে প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘র্যাগিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের বিষয়ে তাদের বিভাগকে আগে জানাই। বিভাগ যদি মীমাংসা না করে তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেটানো হয় : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রসায়ন বিভাগের এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছিল একই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আহত সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পরে তাঁর বিভাগের শিক্ষকরা অভিযুক্তদের সঙ্গে সমাধান করে দেন।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সাক্ষ্য না দিতে চাপ : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীকে গত বুধবার র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টো তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনাটি মিথ্যা উল্লেখ করে চিঠি দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, তাঁর বাড়ি সিলেটের বাইরে এবং পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। হলের বাইরে মেসে থাকতে গেলে অনেক টাকা লাগবে, যা ম্যানেজ করা তাঁর পক্ষে কষ্টকর। মুখ খুললে মারধর করে হল থেকে বের করে দিতে পারে ছাত্রলীগ।
এ মাসের শুরু থেকে নবীন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের হল এবং আশপাশের বিভিন্ন মেসে থাকতে শুরু করেছেন। তবে এ ঘটনা ছাড়া আর কোথাও র্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতিতকেই প্রক্টরের কাছে সোপর্দ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২২ জানুয়ারি শিবির সন্দেহে শাহরিয়াদ মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হল প্রশাসনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শাহরিয়াদকে প্রক্টরের কাছে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিবিরের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা না পেয়ে শাহরিয়াদকে ছেড়ে দেয়।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে রয়েছে ‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’। সেখানে র্যাগিং দিয়ে প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের কথিত ‘ম্যানার’ শেখানো হয়। হলের অতিথিকক্ষে ডেকে এনে ম্যানার শেখানোর এ প্রক্রিয়ার নাম হলো ‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’। আর এই গেস্টরুম সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রক হলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। গেস্টরুমে শুধু ম্যানার শেখানো নয়, সঙ্গে মুখস্থ করানো হয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্লোগান, ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় চার নেতার নাম-পদবিও মুখস্থ করানো হয়, যা হলভেদে চলে রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত। এতেই শেষ নয়, এরপর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস চেনার জন্য হল থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং বলে দেওয়া হয় এই সময়ের আগে যেন হলে ফিরে না আসেন।
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ : রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজেও চলে ছাত্রলীগের এই র্যাগিং সংস্কৃতি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকসানা আক্তারের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রোকসানা আক্তার ভুক্তভোগীকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করতেন। প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গলবার তাঁকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে, চুল ছিঁড়ে ফেলে, বঁটি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ ছাড়া ইডেন কলেজে সিনিয়রদের সালাম দেওয়া, হলের নির্দিষ্ট জায়গায় বসা, কাপড় ধুয়ে দেওয়া, খাবার নিয়ে আসা, মার্কেট করতে গেলে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া, নেতাদের সঙ্গে দেখা করার সময় জোর করে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে র্যাগিং দেওয়া হয়।
সোর্স : কালের কন্ঠ