ব্রয়লার মুরগি। স্বল্প আয়ের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এ মুরগিও এখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। নিত্যদিনই বাড়ছে ব্রয়লারের দাম। বর্তমানে দাম ঠেকেছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এতে বাধ্য হয়েই নিজেদের চাহিদায় লাগাম টানছে মানুষ। আগে যেখানে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন মাংসের চাহিদা পূরণে মানুষ ব্রয়লার মুরগি কিনতো এখন কিনছে এক থেকে দুই দিন। মূলত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে না আয়। গতকাল কাওরান বাজারে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজিতে। মিরপুরের দুয়ারিপাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২৪০ টাকা কেজিতে।
পাড়া-মহল্লার দোকানে কোথাও কোথাও ২৫০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা যায়।
সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা কেজিতে। দোকান মালিকরা বলছেন, উচ্চ দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মূলত ব্রয়লার মুরগির খাদ্যসহ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জিনিসের দাম বাড়ায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন খামারিরা। তাই তাদেরও বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তারা। দাম বাড়ায় বিক্রিও কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কাওরান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউজের শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমরা ব্রয়লার বিক্রি করছি ২৩০ টাকায়। আমাদের কেনা বেশি হওয়ায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। মূলত ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে। তিনি বলেন, মানুষ এরপরও কিনছে। কারণ অন্য মাংসের দাম আরও বাড়তি। পাশের দোকানের বিক্রয়কর্মী জিসান বলেন, দাম বাড়ায় বেচাবিক্রি কমে গেছে। ফারুক চিকেন ব্রয়লার হাউজের বিক্রেতা ফারুক বলেন, বেচাবিক্রি আগের মতোই। নিয়মিতভাবে দাম বাড়ছে। আজ ২৩০ টাকায় বিক্রি করছি। চিকেন তলফা ব্রয়লার হাউজের সোহাগ বলেন, মানুষ আগের মতো কিনছে না। বেচাবিক্রি কমে গেছে। আজ ২৩০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি করছি। এদিকে ব্রয়লারের দাম বাড়ায় নিজেদের খাদ্য চাহিদায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। কাওরান বাজারে মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রহিমা আক্তার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের তো কষ্ট হচ্ছে। অন্য মাংস তো সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এখন ব্রয়লারও যদি ২৩০ টাকায় কিনতে হয় মানুষ যাবে কোথায়? নুর নবী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। আগে যেখানে তিন থেকে চার দিন মুরগি কিনতাম এখন সেখানে এক থেকে দুই দিন কিনতে হচ্ছে।
সোর্স : মানবজমিন