নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে বড় দুঃসময় যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। কোনো কোনো পণ্যের দাম এখন অস্বাভাবিক। কেন দাম বাড়ছে এর উত্তর মিলছে না। যুদ্ধ, মন্দা আর ডলার সংকটের কারণ দেখিয়ে দিনের পর দিন এই দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম বাড়ায় নতুন হাওয়া লাগে নিত্যপণ্যের দামে। মানুষের আয় না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভোগ-ব্যবহার কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু দাম বাড়ার প্রতিযোগিতার সঙ্গে সেই চেষ্টাও সফল হচ্ছে না অনেকের। গত ৬ মাসের নিত্যপণ্যের দামের পর্যালোচনা করেছে মানবজমিন।
বিজ্ঞাপন
এতে দেখা যায়- এই সময়ে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। ৬ মাসের মধ্যেই কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। দাম বাড়ার হারও ছিল অস্বাভাবিক। চাল, ডাল, চিনি, তেল, মাংস এবং মুরগির দাম বাড়ার কারণে হিসাব মেলাতে পারছেন না নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেরা। দাম বেড়েছে ডিম, তরল দুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের। দাম বেড়েছে পাউরুটি, বিস্কিটের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যেরও। ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে নিত্য ব্যবহারের নানা প্রসাধনী সামগ্রির দামও দফায় দফায় বেড়েছে। বিশেষ করে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ইচ্ছেমতো। এতে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানও উৎসাহিত হয়েছে দাম বাড়াতে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ৬ মাসের চিত্র তুলে এনেছেন-এম এম মাসুদ, মো. আল আমিন এবং নাজমুল হুদা।
খাবার কিনতেই হিমশিম অবস্থা: দেশে গত ৬ মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। এতে হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে এই সময়ে। বর্তমান বাজারে ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকা কেজি দরে। গত ৬ মাসে এই চালের দাম ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৬ মাস আগে এই চাল কেনা যেতো ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে। এই সময়ের মধ্যে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দামও বেড়েছে। এখন প্রতিকেজি মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫২ টাকায়। ৬ মাসে প্রতিকেজিতে অন্তত ২ টাকা ও বস্তার হিসাবে ১০০ টাকা বেড়েছে মোটা ও মাঝারি আকারের চালের দাম। এই সময়ের মধ্যে আকাশচুম্বী হয়েছে চিনিগুঁড়া চালের দাম। গত ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চালে অন্তত ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন বাজারে এক কেজি ভালো মানের চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
এদিকে ৬ মাসের ব্যবধানে বাজারে ডাল, চিনি, আটা, লবণ ও সয়াবিন তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ মাস আগে এক কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১২০ টাকায় যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় যা গত ৬ মাসে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজার। বাজারে এখন প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। কেউ কেউ ১২০ টাকাতেও বিক্রি করছেন। যা ৬ মাস আগে বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেটজাত চিনিতে ১১২ টাকা দর দেয়া থাকলেও তা ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন অনেকে। ৬ মাস আগে এক কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হতো ৮৫ টাকায়।
৬ মাসের মধ্যে প্যাকেটজাত ও খোলা আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। বর্তমানে এক কেজি প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকা ও খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে গত ৬ মাসে সয়াবিন তেলের দামে তেমন হেরফের হয়নি। বর্তমানে ১৮৫ টাকায় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে লবণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ মাস আগে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লবণ এখন ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের। বাজারে এখন ১০০ গ্রাম মরিচ ও হলুদের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৫০ টাকায়। ৬ মাস আগে তা বিক্রি হতো ৫০ ও ৪০ টাকায়। এ ছাড়া ৬ মাসের ব্যবধানে ১০০ গ্রাম জিরার দাম ৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৭০ টাকা। ১০০ গ্রাম এলাচের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা হয়েছে।
৬ মাস আসে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। কোথাও কোথাও তা ১৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৬ মাস আগে ১৮০ টাকা ছিল। সোনালি মুরগি বর্তমানে ৩১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ মাস আগে ছিল ২৬০ টাকা। ৬ মাসে গরুর মাংসের কেজিতে দাম বেড়েছে একশ’ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্যাকেটজাত তরল দুধের লিটার ৯০-৯৫ টাকা। ৬ মাস আগে ছিল ৮০-৮৫ টাকা। আধা লিটারের প্যাকেট কিনলে লিটার একশ’ টাকা পড়ছে। সাড়ে তিনশ’ গ্রামের একটি পাউরুটি ৬ মাস আগে বিক্রি হতো ৪০ টাকায়। তা এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত ৬ মাসে ফলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বর্তমান প্রতি কেজি ভালো মানের আপেল ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৬ মাস আগে ছিল ১৮০ টাকার মধ্যে। মাল্টা আর কমলার দামও বেড়েছে। মাল্টার কেজি বর্তমানে ২৮০ টাকার উপরে, যা ৬ মাস আগে ছিল ১৮০ টাকা। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খাবার হোটেলেও। আগে যেখানে দুপুরের একবেলা খেতে ১৫০ টাকা লাগতো সেখানে এখন ২০০ টাকা লাগছে। খাদ্যপণ্যের সঙ্গে সন্তানের লেখাপড়ার উপকরণ কিনতেও বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। একটি ছোট লেখালেখির খাতা বতর্মানে ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ৬ মাস আগে এই খাতার দাম ছিল ২০ টাকা।
টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীন: সাবান, টুথপেস্ট, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্টসহ প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার্য সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। মাসের খরচে যুক্ত হয়েছে বাড়তি ব্যয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে ৬ মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের মূল্য ১০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ৬ মাসের ব্যবধানে সব কোম্পানির সুগন্ধি সাবানের দামই ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ১০০ গ্রাম লাক্স সাবানের দাম ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা। লাইফবয় ১০০ গ্রাম সাবানের দাম ৩২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। ৪২ টাকা দামের ডেটল সাবান ৭৫ গ্রাম কিনতে ক্রেতাকে এখন গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। একই সাবান ১২৫ গ্রাম কিনতে ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৮০ টাকা, আগে যা ছিল ৬২ টাকা। ছোট মেরিল, কেয়া, লাক্স ও ডেটল সাবানের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এসিআই স্যাভলন ১০০ গ্রাম সাবানের মূল্য ৪৫ টাকা থাকলেও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ রিফিল ১৭৫ গ্রাম ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা। বোতলজাত লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে। আর ডেটল হ্যান্ডওয়াশের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে।
বেড়েছে সব ধরনের ডিটারজেন্টের দাম। হুইল কাপড় কাচার সাবানের দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। ১৩০ টাকার হুইল ডিটারজেন্টের দাম এখন ১৬৫ টাকা। আর ১৫০ টাকার হুইল রিন পাউডারের দাম বেড়ে ২১০ টাকা হয়েছে।
অত্যধিক পরিমাণে বেড়েছে শ্যাম্পুর দাম। ৬ মাস আগে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া ৩০০ গ্রামের সানসিল্ক শ্যাম্পুর দাম বেড়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে ডাভ শ্যাম্পু ৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা হয়েছে। আর ৩ টাকা দামের সকল মিনিপ্যাক শ্যাম্পুর দাম বেড়ে ৪ টাকা করা হয়েছে। যে সকল কোম্পানি মিনিপ্যাক শ্যাম্পুর দাম বাড়ায়নি তারা পরিমাণ কমিয়েছে।
৬ মাসের ব্যবধানে থালা-বাসন পরিষ্কারক পণ্যের দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ১০০ গ্রাম ভিমবারের দাম ১২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা। ৩০০ গ্রামের দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ভিমবার লিকুইড কিনতে ক্রেতাকে বাড়তি ৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
বাথরুম পরিষ্কারের পণ্য হারপিকের দাম ৬ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ টাকা। হারপিক ৭৫০ এমএল কিনতে ক্রেতাকে ১৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে, আগে যা ছিল ১২০ টাকা।
বেড়েছে সকল ধরনের টুথপেস্টের দাম। পেপসোডেন্ট ২০০ গ্রামের একটি টুথপেস্ট কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৬০ টাকা, আগে যা ছিল ১৩০ টাকা। ১০০ গ্রামের পেপসোডেন্ট ৬ মাস আগে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। ৯০ টাকার ক্লোজআপ টুথপেস্টের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা, আর ১৩০ টাকার সেনসিটিভ টুথপেস্ট বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে। স্কয়ারের বেবি ব্রাশের দাম ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা হয়েছে।
টয়লেট টিস্যুর দামও বেড়েছে এই সময়ে। ১৫ টাকার বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যুর দাম বেড়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। পেপার ন্যাপকিনের দাম বেড়ে ৪৪ টাকা থেকে হয়েছে ৬৫ টাকা। আর হ্যান্ড টাওয়াল টিস্যুর দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে।
প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিদপ্তর যা বলছে: বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বর মাসে মামলা করে প্রতিযোগিতা কমিশন। সংস্থাটি বলছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ এবং ১৬ ধারা লঙ্ঘন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আর কমিশনের করা এই মামলার শুনানি এখনো চলমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী মানবজমিনকে বলেন, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছিল। তাদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। এখন মাঠ পর্যায়ে যাচাই কার্যক্রম চলছে। তাদের রিপোর্টে গরমিল থাকলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। তদন্ত করতেই কয়েক মাস চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জনবল সংকটের কথা জানান।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছিল, সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্টসহ সব ধরনের পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এগুলোর উৎপাদন ব্যয় যাচাই ও খুচরা মূল্যের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখবে তারা। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
উৎপাদন ব্যয় যাচাইয়ের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, এ বিষয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। তারা এখনো কাজ করছে। কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিতে পারবে। প্রতিবেদন দিলে আমরা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠাবো।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। আছে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা। ক্রেতাকে জিম্মি করে তারা অতি মুনাফা লুটতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় স্বল্পআয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
সোর্স : মানবজমিন