সমাবর্তনজটে পড়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সরকার নির্ধারিত শর্তাবলি পূরণ না করায় সমাবর্তনের অনুমতি পায়নি। আবার কেউ সমাবর্তন আয়োজন করতে চেয়েও নানা কারণে তা পারছে না। এখন তারা অনুমতির অপেক্ষায়। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সমাবর্তন আয়োজন না করেই দিব্যি এক দশকের বেশি সময় পার করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছরে মাত্র তিনটি সমাবর্তন করতে পেরেছে- এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিক্য ও করোনা মহামারির কারণে মূলত এই সমাবর্তনজটের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তনও এ সময় বন্ধ ছিল। তবে ২০২১ সালে মহামারির উন্নতি হলে অনলাইনে সমাবর্তন আয়োজন শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে ফের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতিতে সরাসরিই সমাবর্তন শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এ মুহূর্তে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৯। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টিতে আজ পর্যন্ত একটি সমাবর্তনও অনুষ্ঠিত হয়নি। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবর্তন মূলত বিশাল এক খরচের ব্যাপার। লাখ লাখ টাকা এতে ব্যয় হয়। এ কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর মিলিয়ে একটি সমাবর্তন আয়োজন করে।
চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, কত দিন পর সমাবর্তন করতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে গবেষণা করার সময় দেখেছেন, সেখানে প্রতিবছর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অবশ্য বাংলাদেশের মতো এত জাঁকজমকপূর্ণ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয় না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর হলেন রাষ্ট্রপতি। সমাবর্তনে তিনি বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে ডিগ্রি ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত প্রতিটি সমাবর্তনে চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রগুলো জানায়, রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষামন্ত্রী দু’জনই রাষ্ট্রীয় আরও নানা রকম কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁদের সময় পাওয়াও বেশ কঠিন। এ কারণেও সমাবর্তনজটের সৃষ্টি হয়। তার পরও প্রতি মাসে দু-তিনটি সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন। চ্যান্সেলরকে এর বাইরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তনেও অংশ নিতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মুহূর্তে সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, মুন্সীগঞ্জের হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনিভার্সিটি, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি।
জানা গেছে, চ্যান্সেলরের সচিবালয় হিসেবে কাজ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সমাবর্তনের অনুমতি পেতে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে আবেদন করতে হয়। আবেদন পেলে এই বিভাগ ইউজিসি থেকে একটি প্রতিবেদন চায়। ইউজিসির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া ও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেসব শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা দেখা হয় তার মধ্যে রয়েছে- আইন অনুযায়ী বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠিত কিনা; অননুমোদিত আউটার ক্যাম্পাস আছে কিনা; সরকারের বিরুদ্ধে বা নিজেদের মালিকানা সংক্রান্ত কোনো মামলা আছে কিনা; নিজস্ব ক্যাম্পাসে গিয়েছে কিনা বা ক্যাম্পাসে যাওয়ার তারিখ উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা; দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ইত্যাদি কোনো অভিযোগ আছে কিনা; কোনো অভিযোগ তদন্তাধীন আছে কিনা; চ্যান্সেলর নিযুক্ত ভিসি-প্রোভিসি ও ট্রেজারার আছেন কিনা। এর বাইরেও আরও কিছু তথ্য নেওয়া হয়। আইন অনুসারে, মূল সনদে শুধু চ্যান্সেলর নিযুক্ত ভিসি, তার নির্দিষ্ট মেয়াদকালে স্বাক্ষর করতে পারেন।
একবারও সমাবর্তন করেনি যারা: ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১১ বছরে একবারও সমাবর্তন করেনি, এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য রয়েছে- ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, শরীয়তপুরের জেএডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী ইউনিভার্সিটি ও কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গত ১১ বছরে রাজশাহীর বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি মাত্র একবার, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি একবার, সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটি একবার, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দুইবার এবং চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি দুবার সমাবর্তন করেছে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ১০ বছরে একবার মাত্র সমাবর্তন করেছে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। একই সময়ে প্রতিষ্ঠা করে ১০ বছরে একবারও সমাবর্তন করেনি ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, জামালপুরের শেখ ফাজিলাতুন নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নারায়ণগঞ্জের রণদাপ্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বরিশালের গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৯ বছরে একবারও সমাবর্তন হয়নি কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে গত আট বছরে একবারও সমাবর্তন হয়নি দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, নাটোরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লার বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, মানিকগঞ্জের এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টোকনোলজি, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ।
সমাবর্তন আয়োজনে পিছিয়ে যারা: রাজধানীর হাটখোলা রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। প্রতিষ্ঠার টানা ২৯ বছরে মাত্র দুটি সমাবর্তন করতে পেরেছে তারা। একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত উত্তরার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ২৯ বছরে মাত্র ছয়টি সমাবর্তন করেছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী ইউনিভার্সিটি ২৭ বছরে চারটি, রাজধানীর আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ২৭ বছরে ১০টি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২০টি সমাবর্তন করেছে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২৬ বছরে গণবিশ্ববিদ্যালয় মাত্র তিনটি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি দুটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দুটি সমাবর্তন করেছে। একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত ফার্মগেটের ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ২৬ বছরে সমাবর্তন করেছে ৯টি। ২১ বছরে একবার মাত্র সমাবর্তন করতে পেরেছে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি। ২১ বছরে দুবার সমাবর্তন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। এর বাইরে প্রতিষ্ঠার পর দুই দশকে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ছয়বার, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ তিনবার, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ছয়বার, সিটি ইউনিভার্সিটি তিনবার, প্রাইম ইউনিভার্সিটি ছয়বার, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পাঁচবার, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি দুবার, গ্রিন ইউনিভার্সিটি চারবার এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি পাঁচবার সমাবর্তন করেছে।
বেশি সমাবর্তন করতে পেরেছে যারা: দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমাবর্তনেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর গত ৩০ বছরে মোট ২৩টি সমাবর্তন করেছে তারা। সমসংখ্যক সমাবর্তন করেছে চট্টগ্রামের ইউএসটিসি। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২৯ বছরে ২৩টি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ২৬ বছরে ২০টি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২১ বছরে ১৪টি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০ বছরে ৯টি সমাবর্তন করতে পেরেছে।
সংশ্নিষ্টদের বক্তব্য: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ সমকালকে বলেন, প্রতিবছর সমাবর্তন আয়োজন করার কথা। যাঁরা তা করছেন না, তাঁদের প্রতি শিগগির কঠোর নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগে তো বছরে তিনটি সেমিস্টার ছিল, তখন চাইলে তারা বছরে তিনটি সমাবর্তনও করতে পারত। সেখানে বছরে একটিও করা হয়নি। সমাবর্তনের নামে বিশাল জাঁকজমক করতে নিষেধ করে দেওয়া হবে। কারণ, এই বিশাল ব্যয়ের পুরোটাই তো শিক্ষার্থীদেরই কষ্ট করে বহন করতে হয়। আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে বলে দেব, তারা তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে যতটুকু জায়গা আছে, সেখানেই সমাবর্তন আয়োজন করবে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে হল ভাড়া করতে আর হবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া বলেন, সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। যারা তা নিয়মিত করবে না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলবে না, তাদের অবশ্যই সতর্ক করা এবং পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোর্স : সমকাল