শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস থামছেই না। বিরোধী মতের ওপর হামলা, নির্যাতনসহ অন্তঃকোন্দলে সংঘাতে জড়ানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী বেশির ভাগই সাধারণ শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক সময়ে আবারো সামনে এসেছে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের টর্চারের বিষয়টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকায় দেখা গেছে প্রশাসনকে। তাদের লেজুরবৃত্তির কারণে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। প্রায় সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই জড়িত ক্ষমতাসীনদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের অনেকে ভয়ে ক্যাম্পাসও ছেড়েছেন। সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)এর দু’টি ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইবিতে ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের পর বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। আর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীকে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্রনেতাদের কিছু কিছু রুম যেন টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ছাত্রলীগও কোথাও কোথাও ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু থামছে না শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সমস্ত সন্ত্রাসের দায় কার? বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে নিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনকে। তাদের উদাসীনতার জন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যদি যথাযথ ব্যবস্থা নিতো তাহলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটতো না। আবার ক্ষমতাসীনরা যদি ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণ নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন। আর ছাত্রলীগ বলছে, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে কয়েকজন। এ সময় ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। হলে ওঠার সময় অভিযুক্ত নেত্রীকে অবগত না করায় তার ওপর এই নির্যাতন করা হয়। ঘটনার পরদিন হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চান। লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে আগের দিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ৩০৬ নং রুমে আমার এলাকার (পাবনা) পরিচিত এক আপুর রুমে গেস্ট হিসেবে উঠি। যথাযথভাবে সবাইকে সম্মানপূর্বক রুমে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করি। এরপর ১১ ও ১২ তারিখে ২ দফায় আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা আপুর নেতৃত্বে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী তাবাচ্ছুম আপুসহ নাম না জানা আরও অন্তত ৭-৮ জন দ্বারা র্যাগিংয়ের নামে চরমভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হই। এবং আমাকে বিবস্ত্র করে আমার গোপন ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এমনকি তারা আমাকে জীবননাশের হুমকিও প্রদান করেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উচ্চ আদালতও এ বিষয়ে কথা বলেন। এক আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে শুনানি শেষে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের দুইদিনের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশনা দেন আদালত। ছাত্রলীগ অভিযুক্ত সানজিদা অন্তরা ও তার সহযোগী তাবসসুম ইসলামকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশনার পর প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে হলও ছাড়েন তারা দু’জন। ছাত্রলীগ বলছে, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। এর আগে ৮ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে শিবির সন্দেহে ৪ ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মারধরে গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে ভর্তি করা হয় চমেকের আইসিইউতে। যদিও ছাত্রলীগের দাবি- ৪ শিক্ষার্থীকে কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তারা আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন। আর সেখানে বসে মোবাইল চালাচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার ৪ শিক্ষার্থী হলেন- জাহিদ হোসেন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়হান, মোবাশ্বের হোসেন শুভ্র। জানা গেছে, ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার ১৭ এ ও ১৮ বি-তে রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সাকিব, জাহিদ, মোবাশ্বের ও রায়হানকে ডেকে নিয়ে স্টাম্প ও লাঠি দিয়ে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতিত ৪ ছাত্রই এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পরদিন সকালে তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চমেক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, চমেক ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল জয়, জাকির হোসেন সায়াল এবং মাহিন আহমেদের নির্দেশে ওই ৪ ছাত্রকে পেটানো হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, জিহাদি বই বিতরণের মাধ্যমে একটি চক্র ক্যাম্পাসে উগ্রবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। তাদের কাছ থেকে ডকুমেন্টগুলো নিয়ে নেয়া হয়েছে। এখানে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩০শে অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিতে আকিব নামে এক ছাত্রের মাথার খুলির হাড় ভাঙার পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই নৃশংস ও বর্বরোচিত ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আর ৫ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের পাশাপাশি ভুক্তভোগী কৃষ্ণ রায়কে শিবির বলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এ ঘটনায় প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কৃষ্ণ রায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন হলের দ্বিতীয় ব্লকের ৩৮৩ নম্বর রুমে। রোববার রাতে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলামের ৭-৮ জন কর্মী রুমে গিয়ে তাকে বের হয়ে আসতে বলেন। বের হতে রাজি না হওয়ায় তাকে নাইমের রুমে নিয়ে আসা হয়। এরপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এ নির্যাতনের সঙ্গে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান ও কয়েকজন কর্মী জড়িত বলে ভুক্তভোগী জানায়। এদিকে এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হলটির আবাসিক শিক্ষক প্রফেসর অনুপম হীরা মণ্ডল।
কমিটির অন্য ২ সদস্য হলেন- আবাসিক শিক্ষক তানজিল ভূঞা এবং রায়হান গফুর। একইদিন রাজধানীর খিলগাঁও থেকে সদরঘাট যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে এক যুবককে অচেতন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে এনে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগেরই কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবককে মারধর করে প্রায় অর্ধলাখ টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হয়। এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওয়ালিউল্লাহ (ওয়ালি)। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে এ ঘটনা ঘটে। গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে সংগঠনটির ১০-১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতন, শিক্ষক লাঞ্ছনাসহ নানা অভিযোগ সামনে আসছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়েও সংঘাতে জড়াচ্ছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সাম্প্রতিক যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এগুলো একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার। একইসঙ্গে এটি একটি ফৌজদারি অপরাধও। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অ্যান্টি র্যাগিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। আমরা মনে করি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে এটি বন্ধ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে এর বিরুদ্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনও গড়ে তোলা উচিত। সাদ্দাম বলেন, ছাত্রলীগ প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোনো অপরাধীর ছাত্রলীগে স্থান নেই। যারাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো অপরাধীর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতেও তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তানজিম উদ্দিন খান মানবজমিনকে বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন এড়াতে পারে না। এর দায় প্রশাসনের। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে। তাই এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও স্বৈরাচারী রাজনৈতিক বৈশিষ্ট বিদ্যমান। এখানে শীর্ষ পদে যাদের পদায়ন করা হয় তাদের ব্যক্তিত্ব দুর্বল, প্রজ্ঞা নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পার্টি অফিস বানাতে চান। তাই জাতীয়ভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির যতক্ষণ না পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ এর পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, এসব ঘটনায় প্রায়ই লোক দেখানো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় কিন্তু সেটিও যথাযথ না। এর পেছনে যারা মূল হোতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক ব্যবস্থাপনায়ই শিক্ষার্থীদের ক্রাইমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে অপরাধী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই এ ধরনের অপরাধ বন্ধে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন প্রয়োজন।
সোর্স : মানবজমিন