ধীরে ধীরে রুগণ হয়ে যাচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সেখানে সবচেয়ে বেশি দুর্বল খাত-আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি। সার্ভার সমস্যা যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এতে বিঘ্ন ঘটে লেনদেন। শুধু তাই নয়, পরিচালনা পর্ষদও (বোর্ড) একরকম অকার্যকর। গত তিন বছরে বড় কোনো কাজ দূরের কথা, ডিএসইর ভবনটিও উদ্বোধন করতে পারেনি। এমনকি ব্যবস্থাপনায় চলছে চরম স্বেচ্ছাচারিতা। মেধাবীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দশ বছরেও স্টক এক্সচেঞ্জ পূর্ণাঙ্গ ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদকরণ) হয়নি। শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একটি অংশও শেয়ার ব্যবসাসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। প্রভাবশালী মহাব্যবস্থাপকদের (জিএম) চিন্তার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় না। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পদত্যাগ এখানে নিয়মিত ঘটনা। সাধারণ কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীন। ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকও জিএমদের ওপর নির্ভরশীল। তিনি নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অন্যদিকে ডিএসইর কারিগরি উন্নয়নে চীনের ৩শ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করার কথা ছিল। এখনো সে বিনিয়োগ আসেনি।
Advertisement
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডিএসই’র ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, ডিএসইতে বড় ধরনের সংস্কার দরকার। পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা, আইটি, সার্ভিল্যান্স এবং জনবল কাঠামোসহ সবকিছুতে পরিবর্তন আনতে হবে।
তবে ডিএসইর একটি পক্ষ বলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চাচ্ছে না, ডিএসই শক্তিশালী হোক। আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) অনুমোদনে মতামত প্রদানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কমিশনই স্টক এক্সচেঞ্জকে দুর্বল করে রেখেছে। তবে বিএসইসি বলছে স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্বাধীন।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম রোববার যুগান্তরকে বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্বাধীন। তারা নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত। বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য স্বতন্ত্র। তারা নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আর স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রমে বিএসইসি কোনো হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা বাজার উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণে স্টক এক্সচেঞ্জ আরও দক্ষভাবে কাজ করবে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ হয়েছে। কিন্তু পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারণা নেই। ফলে পর্ষদ অকার্যকর। উদ্ভাবনী কাজতো দূরের কথা, নিয়মিত কাজগুলোই করতে পারছে না। মিটিংয়ের সম্মানির টাকার বাইরে তাদের চিন্তা-ভাবনা কম। তিন বছরেও ডিএসইর বর্তমান পর্ষদের দূরদর্শী কোনো লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল না। দেশের সম্ভাবনাময় এই প্রতিষ্ঠানটিতে সময়োপযোগী গবেষণার অভাব। এখানে ভালো কোম্পানি হাতেগোনা কয়েকটি। আর ভালো কোম্পানি আনার বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। লেনদেন, পেশাগতভাবে দক্ষ মানবসম্পদ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। বোর্ডের বর্তমান সদস্যদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা না থাকায় অপেশাদারিত্ব ছিল। নির্ধারিত সময়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে প্রকাশে গড়িমসির প্রমাণ মিলেছে। স্টক এক্সচেঞ্জের শক্তিশালী কোনো মানবসম্পদ বিভাগ নেই। তুলনামূলকভাবে কম দক্ষ মানবসম্পদ তারা প্রতিষ্ঠান চালাতে চান। নতুন পণ্য চালু না করে, শুধু ইক্যুইটি (মূলধন) ভিত্তিক বাজারব্যবস্থা নির্ভরশীল। বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করার ব্যাপারে রয়েছে অনীহা। এছাড়াও বিএসইসি ছাড়া অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইডিআরএ) এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলসহ (এফআরসি) অন্যান্যদের সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যকর যোগাযোগ নেই।
সূত্র জানায়, গত এক বছরে ডিএসইতে মোট ৬৯টি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে পর্ষদের বৈঠক ৩০টি, মনোনয়ন ও পারিতোষিক কমিটির, নিরীক্ষা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির ৭টি, আপিল কমিটির ৪টি, বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটির ৫টি এবং নিয়ন্ত্রক বিষয়ক কমিটির ১৪টির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় পর্ষদের সদস্যরা ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা সম্মানি হিসাবে নিয়েছেন। আর তিন বছরে সম্মানি নিয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। কর্মকর্তাদের একটি অংশ শেয়ার ব্যবসায় জড়িত।
জানা গেছে, আইটি-সংক্রান্ত দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ডিএসইর দেড় ঘণ্টা পরে লেনদেন শুরু হয়। এর আগে গত ২৪ অক্টোবরও ডিএসইর সার্ভারে সমস্যা হয়েছিল। এই ঘটনার পর ৩১ অক্টোবর ডিএসই প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মো. জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো আইটি পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। এদিকে বারবার ডিএসইর সমস্যার বিষয়টি রহস্যজনক বলছেন, বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে-২০১১ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্টের আলোকে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদাকরণ) উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো তা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে ডিএসইর ১০০ ভাগ শেয়ারের মধ্যে সদস্যদের জন্য ৪০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত। বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারী এবং ৩৫ শতাংশ সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত। ইতোমধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসাবে চীনের শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি এখনো সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে পর্ষদের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে চীনের কাছে শেয়ার বিক্রির সময় শর্ত ছিল, ডিএসইর প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে দেশটি। কিন্তু এখনো চীনের কাছ থেকে সেই বিনিয়োগ আনা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অন্যতম সম্পদ হলো ডিএসইর বিলাসবহুল ভবন। ইতোমধ্যে ভবনের দাম ধরা হয়েছে ৭২৫ কোটি টাকা। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিব কর্নার করা হয়েছে। সদস্যদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু পর্ষদের অদক্ষতায় ৩ বছরেও তা সম্ভব হয়নি। এর অনেক পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ভবন নির্মাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দুটি ভবনই উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু ডিএসইর ভবন উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
ডিএসইর জনশক্তিদের মূল্যায়নে একজন বোর্ড সদস্যের অতি আগ্রহের কারণে জেড এন কনসালট্যান্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয় ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট আমলে নেয়নি পর্ষদ।
জানতে চাইলে ডিএসইর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমান রোববার যুগান্তরকে বলেন, আমাদের মেয়াদে তিন বছরে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এরমধ্যে করোনা পরিস্থিতি অন্যতম। তবে সামগ্রিক মূল্যায়নে আমি ভালো বলব। কারণ স্টক এক্সচেঞ্জে ডাটা সেন্টার ছিল না। এখন ডাটা সেন্টার হয়েছে। আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা ছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি ভালো না। বাজারে লেনদেন কম।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে ডিএসইর জনশক্তি নিরাপত্তাহীন। সাহস নিয়ে কোনো কোম্পানির দুর্নীতি চিহ্নিত করতে চান না। কারণ এ ধরনের সমস্যায় বিপদে পড়লে কেউ দায়িত্ব নেয় না। ফলে তাদের চাকরি হারিয়ে বিদায় নিতে হয়। তাদের মতে, আগে চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পছন্দের জায়গা ছিল স্টক এক্সচেঞ্জ। কিন্তু কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। এসব দুর্বলতার কারণে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরও স্টক এক্সচেঞ্জ শক্তিশালীভাবে দাঁড়াতে পারছে না।
তবে ডিএসইর সাবেক একজন পরিচালক যুগান্তরকে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের এখন কোনো ক্ষমতা নেই। পর্ষদ অনেকটা রাবার স্ট্যাম্প। অর্থাৎ কমিশন যা বলে, সেই কাজ করে। বর্তমানে বোর্ডের ১২ সদস্যের মধ্যে ২ জন খুব প্রভাবশালী। বাকিরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকেন। মিটিংয়ের সম্মানির টাকা পেলেই তারা খুশি। তার মতে বিএসইসি, প্রভাবশালী দুইজন সদস্য এবং দু-একজন কর্মকর্তা মিলে দেশের অন্যতম স্পর্শকাতর এই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা বা বাদ দেওয়ার ক্ষমতা নেই ডিএসইর কাছে। এর আগে কোনো কোম্পানির আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের মতামত নেওয়া হতো। এখনো সেটিও বাদ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি পরিদর্শনে গেলেও ওপর থেকে বাধা আসে। অন্যদিকে ডিএসইর পদোন্নতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পদোন্নতি পুনর্বিবেচনা করা হয়। সেক্ষেত্রে যোগ্যদের বাদ দিয়ে বোর্ড সদস্য এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে লোকদের প্রমোশন দেওয়া হয়। এরমধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত দুজন কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ডিএসইর রেগুলেটির বিভাগ বিকলাঙ্গ করে দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এসব বিষয়ে নিয়ে গণমাধ্যমে নিউজও হয়েছে। কিন্তু তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে এমডি পদত্যাগ করা ডিএসইর নিয়মিত ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটিতে পরপর ৫ জন এমডিই পদত্যাগ করেছেন। পর্ষদের সঙ্গে দূরত্বের কারণে গত বছর ২৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন তারিক আমিন ভূঁইয়া। এর আগে পর্ষদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর পদত্যাগ করেন কাজী ছানাউল হক। এর ২০১২ সালের ২৮ মে পদত্যাগ করেন তৎকালীন ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেন। তবে বাজারে খারাপ সংবাদ যাবে-এই বিবেচনায় ওই সময়ে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। শেয়ারবাজারে কারসাজির রিপোর্ট তৈরিতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্টে সহায়তা করায় ২০১১ সালে তৎকালীন সিইও সতীপতি মৈত্রকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও নিয়োগের ৫ মাসের ব্যবধানে ২০০৯ সালে তৎকালীন সিইও শরীফুল ইসলামকেও পদত্যাগ করতে হয়।
অন্যদিকে ডিএসইর পর্ষদে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫ জনের মেয়াদ শেষ। এরা হলেন- চেয়ারম্যান ইউনূসূর রহমান, পর্ষদ সদস্য প্রসেফর মো. মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরিন, মুনতাকিম আশরাফ, প্রফেসর ড. একেএম মাসুদ। নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ১৮ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে পর্ষদ। এরমধ্যে বর্তমান বোর্ডের ৪ জনের নাম রয়েছে। মঙ্গলবার তা কমিশনে পাঠানো হবে।
সোর্স : যুগান্তর