আল্লাহ বলেন, কী ব্যাপার? তোমরা আল্লাহর পথে কেন খরচ করছো না? অথচ যমীন ও আসমান সব তাঁরই। তোমাদের মধ্যে যারা বিজয়ের পরে অর্থ ব্যয় করবে ও জিহাদ করবে তারা কখনো সেসব ভাগ্যবানের সমকক্ষ হতে পারবে না যারা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে। বিজয়ের পরে ব্যয়কারী ও জিহাদকারীদের তুলনায় তাদের মর্যাদা অনেক বেশী। যদিও আল্লাহ উভয়কে ভাল প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যা করছো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।
এমন কেউ কি আছে যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? উত্তম ঋণ! যাতে আল্লাহ তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন। আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান। এই কথাগুলো প্রভুর কথা। তিনি এগুলো বলেছেন সূরা হাদীদের ১০ ও ১১ নং আয়াতে।
তিনি আরো বলেন, “যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় তা খরচ করে না; অতএব, আপনি তাদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন, অতি যন্ত্রণাময় শাস্তির। যা সেদিন ঘটবে। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে সেগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে, অতঃপর সেগুলো দ্বারা তাদের ললাটসমূহে এবং তাদের পার্শ্বদেশসমূহে এবং তাদের পৃষ্ঠসমূহে দাগ দেয়া হবে, এটা তাই যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে, সুতরাং এখন স্বাদ গ্রহণ কর নিজেদের সঞ্চয়ের”। (আত-তওবাঃ ৩৪-৩৫)
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’র জন্য যারা দান করবেন তারা আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় বলে গণ্য হবেন। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায়, তাওহীদ তথা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জিহাদে অর্থ ব্যয় করুন। এই খাতে ব্যয় না করলে আল্লাহর পাকড়াওয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ’র গুরুত্ব এবং এর অপরিহার্যতা বুঝতে পড়ুন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রহ.-এর এই বইটি। বইটি পড়তে ও ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ